অবৈধ উপায়ে বালু-পাথর উত্তোলন বন্ধ হোক
‘ধোপাজান-চলতি নদীতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন : ভাঙনের মুখে বিস্তীর্ণ জনপদ’ শীর্ষক সংবাদটি গত শনিবারের (১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪) দৈনিক সুনামকণ্ঠে ছাপা হয়েছে। এই রকমের সংবাদ কিংবা সংবাদ প্রতিবেদন হরহামেশা ছাপা হয়ে আসছে বিভিন্ন পত্রপত্রিকার পাতায় দশক তিনেক যাবৎ এবং এই সমস্যটি নিয়ে সম্পাদকীয়ও কম লেখা হয়নি। কিন্তু প্রশাসন বালু-পাথরখেকোচক্রের ঊর্ধ্বে উঠতে পারেনি কখনওই, বরং বলতে গেলে সহায়ক ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে সর্বাবস্থায়।
প্রশাসনিক কর্মকর্তা, রাজনীতিক, ব্যবসায়ী ও নাগরিক সমাজের প্রশ্রয়পুষ্ট হয়ে বালুখেকোচক্র সব সময়েই দখল করে রেখেছে সুনামগঞ্জের বালু-পাথর মহালগুলো। বাণিজ্যের বিনিময়ে বালু-পাথর মহাল সংলগ্ন এলাকায় নদীভাঙনের শিকার হয়ে অগণিত পরিবার বাড়ি-ঘর-জমি হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছে ও এখনও হচ্ছে, প্রকারান্তরে ভারসাম্যহীনতায় ধকল সইতে হচ্ছে প্রকৃতিকে। মানুষের নিঃস্বতা ও প্রাকৃতিক ভারসাম্যহীনতার বিনিময়ে একশ্রেণির হাতেগোণা মানুষ সম্পদের পাহাড় তৈরি করছে নির্বিঘেœ।
এই অন্যায় চলতে পারে না। গণমাধ্যমে তার প্রতিবাদ সব সময়ই উচ্চকিত হয়েছে কিন্তু প্রতিকারার্থে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন কর্তৃপক্ষকে কখনওই সচেষ্ট হতে দেখা যায় নি বরং বিপরীতে বালু-পাথরখেকোদের বান্ধব হয়ে উঠতে কখনওই কার্পণ্য করা হয়নি। এমন অবৈধ কার্যক্রম এখনও বিরাজমান আছে। আমরা অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে সুরমা নদীর উত্তরপাড়ের ধোপাজান-চলতি নদীসহ বালু-পাথর মহালগুলোতে অবৈধভাবে বালু-পাথর উত্তোলন কার্যক্রম বন্ধের দাবি জানাচ্ছি।
নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha
কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ